Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

প্রকল্প

প্রকল্পের সংক্ষিপ্ত পটভূমিঃ

বাংলাদেশের প্রায় ৮০ শতাংশ লোক গ্রাম বাস করে। ভূমি এবং জনগণ হল পল্লী-অর্থনীতির মূল চাবিকাঠি। পল্লী অঞ্চলের উন্নয়নউপর দেশের সার্বিক উন্নয়ননির্ভরশীল। পল্লী অঞ্চলের প্রায় প্রত্যেক বাড়ীকে কেন্দ্র করে অব্যবহৃত জমি, উঠান, পুকুর/ডোবা, খাল ইত্যাদি এবং দক্ষ-অদক্ষ জনশক্তি, বেকার যুবক ও নারী রয়েছে। পাশাপাশি পল্লী অঞ্চলে সেবা সমপ্রসারণের নিমিত্ত বিভিন্ন জাতি গঠনমূলক বিভাগের প্রশিক্ষিত জনশক্তি রয়েছে। অর্থাৎ গ্রামে আমাদের ভূমি, শ্রম, পুঁজি মানব সম্পদসহ বিভিন্ন উপাদান এবং সম্পদ রয়েছে। যার সঠিক এবং যথাযথ ব্যবহার হলে স্থানীয় ও জাতীয় উন্নয়নে  ভূমি মকা রাখবে। সম্পদ ও জ্ঞানের সর্বোত্তম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়ীকে আর্থিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত করা সম্ভব হবে। এতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধ্যান, ধারনা ও স্বপ্নের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে। অন্যদিকে গণতন্ত্রের মানসকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিন বদলের সনদ বাস্তবায়নের পথ সুগম হবে।

কৃষক বাড়ীতে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি, মাঠে শস্য, পুকুরে মাছ, বাড়ীতে হাঁস-মুরগী এবং গবাদী পশু পালন করে থাকে। পল্লী অঞ্চলে অতিরিক্ত শস্য উৎপাদন, মৎস্য চাষ, হাঁস-মুরগী এবং গবাদী পশু পালনের সুযোগ রয়েছে। ফলজ, বনজ ঔষধি গাছ সম্প্রসারণেরও অবারিত সুযোগ রয়েছে আমাদের গ্রামে। এসব কর্মসূচী বাস্তবায়নে গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়ীতে অব্যবহৃত জমি, পুকুর/ডোবা ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে। মৎস্য, হাঁস-মুরগী এবং গবাদী পশু পালনের মাধ্যমে আমিষের চাহিদা মিটানো যেতে পারে। বায়োগ্যাস ও সৌরশক্তি ব্যবহার গ্রামকে আলোকিত করতে পারে। সার্বিক বিবেচনায় প্রকল্পটি সফলভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর বিশেষ করে হতদরিদ্র ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং সার্বিক গ্রাম উন্নয়নসম্ভব হবে। 

আমাদের প্রায় ২২% গ্রামীণ পরিবারের প্রধান হচ্ছেন নারী। আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় নারী শ্রমকে অধিকতর কার্যকরভাবে কাজে লাগানো হবে।